ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়

 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বক ফর্সা করার উপায়

face wash


মানুষ সৌন্দর্যের পুজারী এবং এই সৌন্দর্য যখন আপনার ভালো হবে তখনই আপনি সমাজের সবার কাছে কিছুটা হলেও গুরুত্বপূর্ণ লোক হিসেবে বিবেচিত হবেন। সৌন্দর্যহীন মানুষ কে অনেকেই ব্যক্তি হিসেবে পছন্দ করলেও পাত্র হিসেবে পছন্দ করতে চায় না। তাই নিজের ত্বক ফর্সা পা সুন্দর করার জন্য আপনি যে ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন সে বিষয়ে আমি আপনাদের সাথে আজকে আলোচনা করব। 

নিজের ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি

 নিয়মিত গোসল : প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে গোসল এবং সাবান ব্যবহার করে আপনি আপনার শরীরকে পরিষ্কার রাখতে পারেন আর শরীর যখন নিয়মিত পরিষ্কার থাকবে তখন আপনার ত্বক ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

ধুলাবালি মুক্ত থাকা: এখন যদি সব সময় ধুলাবালিমুক্ত থাকেন এবং আপনার শরীরে যদি ময়লা-আবর্জনা না লাগে সে ক্ষেত্রে আপনার স্ক্রিনে হবে যথেষ্ট সতেজ এবং আকর্ষণীয় এবং এভাবে আপনি একটি সুন্দর চেহারার অধিকারী হতে পারেন। 

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ : আপনারা সবাই যদি মলিন চেহারা আর হয় সেক্ষেত্রে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারেন কারণ শরীরের পুষ্টির অভাবে চেহারা মলিন হয়ে যায় এবং চেহারা এবং অভাব দেখা দেয় তাই আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাবেন যাতে আপনার চেহারা মধ্যে রোগা ভাবনা থাকে এবং আপনি সবসময় সতেজ ভাব নিয়ে থাকতে পারেন। 

(১)  লেবুর রস ও গুঁড়া দুধের  ফেইস প্যাক


একটি পাত্রে এক  চামচ গুঁড়া দুধ, দুই  চামচ লেবুর রস এবং এক/দুই   চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে নিন । এবার এই মেশানো অংশ পুরো মুখে মেখে দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর ত্বক পরিষ্কার হওয়ার সাথে  পূর্বের চেয়ে অনেকটা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। সব ধরনের ত্বকেই এই মিশ্রণ  ব্যবহার করতে পারবেন । লেবুতে থাকা প্রাকৃতিক  ব্লিচিং উপাদান মধু আর দুধের সাথে মিশে ত্বক ফর্সা করে তুলতে সাহায্য করে। প্যাকটি তৈরি করে তেমন কোন বাড়তি ঝামেলাও নেই আর উপাদানগুলো প্রত্যেকের রান্নাঘরেই কমবেশি থাকে। আরেকটি কথা,  নিয়মিত এই প্যাক লাগালে ত্বকে ব্রণের সমস্যাও দূর হবে।

 (২) টক দই এর সাথে ওট মিলের স্কিন মাস্ক

সারারাত এক  চামচ ওট মিল ভিজিয়ে রাখেন এবং সকালে এটি পেস্ট করে  সাথে এক  চামচ টক দই মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। এটি নিশ্চিতভাবে ত্বক ফর্সা করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে অবশ্যই ভাল ফল পাবেন। ড্রাই টু নরমাল ত্বকের জন্য এই মিশ্রণ খুব উপকারী।

(৩) আলুর খোসার স্কিন হোয়াইটেনিং ফেইস প্যাক

লেবুর রসের মত আলুর খোসায় ব্লিচিং উপাদান আছে । আলু খোসার পেস্ট নিয়মিত ত্বকে লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল আর ফ্রেশ হবে। সব ধরনের ত্বকেই এই প্যাক ব্যবহার করা যাবে।

(৪) হলুদ আর টমেটোর ফেইস প্যাক

উজ্জ্বল ত্বক পেতে এক চিমটি হলুদ, ১ চা চামচ টমেটো বা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগান নিয়মিত। অবশ্যই ত্বক ফর্সা হবে। আমরা কমবেশি সবাই জানি টমেটো ত্বকের কাল দাগ দূর করতে কতোটা কার্যকরী। টমেটোর ব্লিচিং উপাদান আর হলুদের ভেষজ উপাদান ত্বক ফর্সা করতে একসাথে কাজ করে। স্বাভাবিক থেকে তৈলাক্ত এবং শুষ্ক ত্বকে এই ফেইস প্যাকটি ব্যবহার করা যাবে।

(৫) আমন্ড ফেইস প্যাক

আপনি ৪-৫ টি আমন্ড সারারাত ভিজিয়ে রেখে এটি গুঁড়া করে পেস্ট তৈরি করে এর সাথে বাটার মিল্ক বা মালাই মিশিয়ে এই প্যাক ত্বকে লাগান। ১০-১২ মিনিট এই প্যাক ত্বকে রাখুন। এরপর কিছুক্ষণ স্ক্রাব করে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন প্যাকটি ত্বকে উজ্জ্বলতা এনে দিতে দারুণভাবে কাজ করেছে। এই প্যাক আপনার ত্বক নরম করবে, ত্বকের মৃত কোষ দূর করবে আর ত্বক হবে উজ্জ্বল। কিন্তু  আপনি যদি মুখে মালাই ব্যবহার করতে না চান তাহলে মধু বা টক দইও ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশ উপকারী এটি।

 (৬) বেসনের ফেইস প্যাক

বেসন আমাদের দেহের ত্বক উজ্জ্বল করে এবং তারুণ্য ধরে রাখে । ত্বক উজ্বল করার জন্য বেসনের ও বাটার মিল্ক এক সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে মুখে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকে এই ফেইস প্যাক ব্যবহার করা যাবে না।

(৭) পুদিনা পাতার ফেইস প্যাক

পুদিনা পাতায় বিদ্যমান অ্যাসট্রিজেন্ট ত্বকে পুষ্টি যোগানোর সাথে সাথে ত্বকে উজ্জ্বল করে তুলে। ১৫ থেকে ২০টি পুদিনা পাতা পেস্ট করে এটি মুখে লাগান এবং পুরো মুখে পেস্টটি লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে টান টান করবে আর ত্বকের ছোট ছোট পোর ঢেকে দেবে।পুদিনা পাতায় অ্যালার্জি থেকে থাকলে এই প্যাকটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। 

 (৮) কলার ফেইস প্যাক

একটি পাত্রে পরিমান মতো কলা, ১ চা চামচ মধু আর ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে লাগান। এই প্যাকটি সান ট্যান দূর করে ত্বক ফর্সা করে তুলবে। সব ধরনের ত্বকের সাথে মানানসই এই ফেইস প্যাক।

 (৯) চন্দনের ফেইস প্যাক

আপনার ত্বক তৈলাক্ত হলে  চন্দনের গুড়ার সাথে পানি মিশিয়ে পেস্ট করে মূখে লাগাতে পারেন । আপনার ত্বকে যে পরিমান পানি   লাগবে ঠিক ততটুকু নিবেন। আপনার ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই ফর্সা হবে এতে। এই মিশ্রণ  আপনার ত্বককে  উজ্জ্বলই করার পাশাপাশি  আপনাকে  দেখতেও অনেক ফ্রেশ লাগবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post