দ্রুত বীর্যপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় | অক্সাট ২০ এর উপকারিতা

দ্রুত বীর্যপাত


দ্রুত বীর্যপাত বর্তমান সময়ে ছেলেদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা।যুবক বয়স থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সের এই সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা থেকে সমাধান এর জন্য অনেকেই অনেকভাবে চেষ্টা করেন। কেউ ডাক্তারের কাছে যান কেউবা কবিরাজের কাছে যান। 
বর্তমান সময়ে অনেক ধোকাবাজ থাকার কারণে এই চিকিৎসায় অনেক প্রতারণার শিকার হন তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব বর্তমান সময়ে দ্রুত বীর্যপাত সমস্যার সমাধানের গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপায় সমূহ।পাশাপাশি আলোচনা করব অক্সাট 20 নিয়ে যেটা দ্রুত বীর্যপাতের গুরুত্বপূর্ণ একটা ঔষধ। 

দ্রুত বীর্যপাতের কারণ

মানসিক অশান্তি 

শারীরিক এবং মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। যারা সবসময় দুশ্চিন্তায় ভোগেন এবং পারিবারিক কলহ ভোগেন তাদের জন্য এ সমস্যা একটা সচরাচর ব্যাপার। মানসিক অশান্তি, দুশ্চিন্তা, অবসাদ, ক্লান্তি আপনার এই সমস্যার প্রধান কারণ হতে পারে। 

অতিরিক্ত মাস্টারবেশনের কারনে


যারা অতিরিক্ত মাস্টারবেশন করেন তাদের জন্য এই সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক কারণ মাস্টারবেশন এর কারনে আপনার বীর্য পাতলা হয়ে যায় এবং দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায়।


শরীরের পুষ্টির অভাবে


পুষ্টিকর খাবার অভাব আপনার শরীরে পর্যাপ্ত সেক্স হরমোন তৈরি হবে না যার ফলে আপনার দ্রুত বীর্যপাত হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি।

শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বা প্রয়োজনীয় উপাদান না থাকলে আপনার শরীর এমনিতেই দুর্বল থাকবে যার ফলে আপনি স্ত্রী সহবাস বা যৌন সংক্রমিত যেকোনো সমস্যায় ভুগতে পারেন। 


বিবাহপূর্ব একাধিক মহিলার সাথে যৌন মিলন


যদি এমন হয় যে আপনি বিবাহর আগেই একাধিক মহিলার সাথে যৌনমিলন করেছেন সে ক্ষেত্রে আপনার দ্রুত বীর্যপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বিবাহের পূর্বে একাধিক মহিলার সাথে যৌন মিলন এড়িয়ে চলবেন প্রয়োজনে বিবাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। 


বেশি পরিমাণ রাত জাগার কারন


এতো রাত জাগার কারণে আপনার দ্রুত বীর্যপাতের মত সমস্যা হতে পারে যারা নির্ধারিত সময় মত না ঘুমিয়ে অতিরিক্ত রাত জাগেন তাদের জন্য এ সমস্যা হয়। 


উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস জনিত কারণ


আপনার শরীরে নিয়ন্ত্রণ উচ্চরক্তচাপ ডায়াবেটিস থাকলে সেক্ষেত্রে আপনার এই সমস্যা হতে পারে। 

ডায়াবেটিসের পরিমাণ যদি বেশি হয় সেক্ষেত্রে আপনার এই সমস্যা হবে এবং উচ্চ রক্তচাপ যদি আপনার নিয়ন্ত্রনহীন মাত্রায় থাকে তাহলেও কিন্তু দ্রুত বীর্যপাতএর  মত সমস্যা হতে পারে। 


ধূমপান জনিত কারণ


ধূমপানের মতো বাজে অভ্যাস থাকলে আপনার এই সমস্যা হতে পারে। ধুমপান মদ্যপান বা অ্যালকোহল জাতীয় পণ্য ব্যবহারে থেকে এধরনের সমস্যা হয়। 

দ্রুত বীর্যপাতের  লক্ষণ সমূহ 

সাধারণত চার থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বীর্য পড়ে গেলে তাকে দ্রুত বীর্যপাত বলা যায়না। 
জীবনের প্রথম অবস্থায় শহরে চার থেকে পাঁচ মিনিট হওয়াটাই স্বাভাবিক তাই এতে আপনি ভয় পাবেন না বরঞ্চ মনে করবেন এটাই স্বাভাবিক। 

তবে এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যে বীর্যপাত হলে মনে করবেন আপনার দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা। 
লিঙ্গ যোনিতে ঢুকানোর আগেই বীর্যপাত হয়ে গেলেও মনে করতে হবে যে আপনার বীর্যপাত আছে। 
রাতে ঘুমের ঘরে তাড়াতাড়ি স্বপ্নদোষ হলে ধরে নিতে হবে আপনার দ্রুত বীর্যপাত জনিত সমস্যা আছে। 

দ্রুত বীর্যপাতের  থেকে বাঁচার উপায় 

১. সবসময় দুশ্চিন্তামুক্ত সুখী জীবনযাপন করতে হবে। কোনভাবেই যেন দুশ্চিন্তা আপনার কাছে ঠাঁই দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন কারণ দুশ্চিন্তা আপনার এ সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিবে তাই অবসাদ অনিদ্রা দুশ্চিন্তা এই ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার সমস্যা হবে না। 

২. দ্রুত বীর্যপাত থেকে সমাধান পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। তাই দুধ ডিম মাছ মাংস সহ নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাবেন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবেন। 


৩. শরীরে কোন কঠিন ব্যধি যেমন উচ্চরক্তচাপ ডায়াবেটিস এর মতো লোক থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করবেন কারণ এ ধরনের রোগ আপনার অবসাদ বাড়িয়ে দিবে আপনি সবসময় দুশ্চিন্তায় ভোগেন এবং এই দুধের কারনে আপনার দ্রুত বীর্যপাত এর সমস্যা হবে। 

৪. অধিক রাত ঘুম না জেগে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। রাত দশটার আগে ঘুমানো শরীরের জন্য ভালো এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠা একটা ভালো অভ্যাস তাই চেষ্টা করবেন ঘুমটা ঠিক রাখা কারণ ঘুম ঠিক থাকলে মানসিক শান্তি থাকে এবং মানসিক শান্তি থাকলে আপনি সবসময় ভালো থাকবেন। 

৫. এই সমস্যা থেকে সমাধান এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। তাই প্রতি সপ্তাহে নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি অ্যাকটিভ থাকতে পারেন পাশাপাশি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 

৬. ধূমপান আপনার সমস্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ তাই ধূমপান পরিহার করবেন পাশাপাশি মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা বর্জন করবেন। 

৭. বিনা প্রয়োজনে কোনো ওষুধ গ্রহণ করবেন না। অনেকেই আছেন যারা হুটহাট করে যখন তখন বিভিন্ন ঔষধ সেবন করে থাকে যেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই তাই যে কোন ওষুধ সেবনের পূর্বে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিবেন যেন সেটা আপনার যৌন জীবনে প্রভাব না ফেলে। 

৮. সবুজ শাকসবজি সহ পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল খাবেন যেগুলো ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ। সবসময় প্রাকৃতিক খাবার বেশি খাবার চেষ্টা করবেন সেগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। 

দ্রুত বীর্যপাতের কিছু ঔষধ 

যখন আপনার দ্রুত বীর্যপাতের মত সমস্যা হবে তখন হয়তো আপনি কোন কবিরাজ বা ডাক্তারের কাছে যাবেন।  সে ক্ষেত্রে ডাক্তার আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ দিতে পারে তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ সম্পর্কে আমি আলোচনা করব সেগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনি কার্যকরী ফলাফল পেতে পারেন। 

দ্রুত বীর্যপাতের ঔষধ সমুহ:

১. অক্সাট ২০      ৩.বায়োম্যানিক্স

২. ইন্টিমেট ১০    ৪. ই-ক্যাপ


বি. দ্রঃ যে কোন ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। 


অক্সাট ২০ এর কাজ কি ?

এই ঔষধটি সাধারণত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ব্যক্তিদেরকে দেওয়া হয় যারা সব সময় অবশ্য হত্যা দুশ্চিন্তা বা হতাশায় ভোগেন ডাক্তাররা তাদেরকে এই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 
সেহেতু আমরা পর্বে আলোচনা করেছি যে দ্রুত বীর্যপাতের অন্যতম কারণ হলো মানসিক দুশ্চিন্তা তাই এই ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে যদি আপনি দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন ডাক্তারের এটা ভেবে আপনাকে এই ওষুধ পরামর্শ হিসাবে দিয়ে থাকে। 

তবে এই ঔষধ এর অনেক পার্শপ্রতিক্রিয়া আছে যার ফলে এই ওষুধ সেবনের পূর্বে আপনাকে অবশ্যই এই ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। 

যাদের জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা নিষেধ:

* উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা থাকলে।
 
* হৃদরোগজনিত সমস্যা থাকলে। 

* অপ্রাপ্তবয়স্করা এই ওষুধ সেবন করতে পারবেন না। 

* কোনভাবেই মেয়েরা এই ওষুধ সেবন করবেন না। 


ইন্টিমেট ১০ এর কাজ কি 

বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে এবং অনলাইন রিভিউ বিবেচনা করে দ্রুত বীর্যপাত রোধের ঔষধ এর কার্যকারিতা অনেক। 
ওষুধ টি খাওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিন রাতে ভরা পেটে একটি করে খাবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। একটির বেশি ঔষধ কোন ভাবে খাবেন না।

শরীরে কোনো মারাত্মক ব্যাধি থাকলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এইসব ঔষধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করবেন। 

আর প্রতিটা ওষুধ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন এটা আপনাদের যুবতী একটা বিশেষ অনুরোধ। 

জীবনধারন এবং খাদ্যাভাস পরিবর্তন

দ্রুত বীর্যপাতের মত অনেক সমস্যা সমাধানে আপনি শুধুমাত্র আপনার জীবন ধারণ বা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাধান করতে পারেন। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম পর্যাপ্ত খাবার এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের মাধ্যমে আপনি শরীরের যেকোনো রোগ থেকে দূরে থাকতে পারেন। 

আমাদের শরীরে প্রধানত রোগের প্রধান কারণ হয়ে থাকে অপুষ্টিজনিত খাবার এবং দূষিত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে। তাই আমরা চেষ্টা করব সব সময় প্রাকৃতিক খাবার খাওয়া এবং বাজারের প্রক্রিয়াজাত খাবার গুলো এড়িয়ে চলা। পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ ডিম মাছ মাংস এবং আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে পারি। 

পাশাপাশি দরকার শারীরিক পরিশ্রম এবং নিয়মিত গোসল। সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করার জন্য আপনার জীবন ধারণ পরিবর্তন এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে পারে আপনাকে সুন্দর জীবন উপহার দিতে। 
ফ্রি 

Post a Comment

أحدث أقدم